বস্তুগত উন্নতি ও সভ্যতা
সভ্যতা আসে জীবন সম্পর্কে মানুষের সামগ্রিক বিশ্বাস বা ধারনাবলী হতে। ইসলামী সভ্যতা, পশ্চিমা ও কমিউনিষ্ট সভ্যতা থেকে সম্পূর্ন আলাদা। কারণ এই প্রত্যেকটি সভ্যতার মাঝেই জীবন সম্পর্কে এমন একটি অন্তর্নিহিত স্বতন্ত্র দৃষ্টি ভঙ্গি আছে, যা অন্যটি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই মুসলমানের জন্য পশ্চিমা বা কমিউনিষ্ট সভ্যতার কোন কিছুই গ্রহন করা জায়েয নেই। কারণ এগুলোর উভয়টিই ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। অপর দিকে বস্তুর বিভিন্ন ব্যবহারিক রূপ দু‘ভাবে আসে।
প্রথমতঃ সভ্যতা থেকে,
দ্বিতীয়তঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় প্রানীদের ছবি আঁকা বা মূর্তি তৈরী করা বস্তুকেই বিভিন্ন রূপ দেয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে কিন্তু যেহেতু এটি মুসলমানদের বিশ্বাসের চেয়ে ভিন্ন কোন বিশ্বাসের ধারক জনগোষ্ঠীর সভ্যতা বা জীবন ধারা থেকে এসেছে,তাই এগুলো গ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য বৈধ নয়।
পক্ষান্তরে ব্যবহারিক জীবনের যে সব উপাদান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে এসেছে-যেমন আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম, আকাশযান, নৌযান, সড়কযান, কৃষি ও শিল্পখাতের উপাদান, যুদ্ধের আধুনিক সরঞ্জাম, কম্পিউটার ইত্যাদি সব কিছুই আন্তর্জাতিক সামগ্রী। এগুলো সারা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য এবং কোন বিশেষ সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত নয়। এমন কি কোন বিশেষ জাতি-গোষ্ঠী কিংবা ধর্মের কোন একচেটিয়া অধিকারও এগুলোর উপর নেই। বরং এগুলো সব মানুষের জন্য উম্মুক্ত। কারণ জীবন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন দৃষ্টি ভঙ্গির সাথে এগুলোর কোন সম্পর্ক নেই। অতএব, যেহেতু এসব বস্তু তৈরী বা ব্যবহারের ব্যাপারে ইসলামী আকীদার সাথে কোন বৈপরিত্য নেই, সেহেতু মুসলমানদেও জন্যও এগুলো আবিষ্কার, উন্নয়ন ও ব্যবহার করা জায়েয। বরং ক্ষেত্রবিশেষে এগুলো অর্জন করা ফরযে কিফায়াও বটে।
প্রথমতঃ সভ্যতা থেকে,
দ্বিতীয়তঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় প্রানীদের ছবি আঁকা বা মূর্তি তৈরী করা বস্তুকেই বিভিন্ন রূপ দেয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে কিন্তু যেহেতু এটি মুসলমানদের বিশ্বাসের চেয়ে ভিন্ন কোন বিশ্বাসের ধারক জনগোষ্ঠীর সভ্যতা বা জীবন ধারা থেকে এসেছে,তাই এগুলো গ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য বৈধ নয়।
পক্ষান্তরে ব্যবহারিক জীবনের যে সব উপাদান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে এসেছে-যেমন আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম, আকাশযান, নৌযান, সড়কযান, কৃষি ও শিল্পখাতের উপাদান, যুদ্ধের আধুনিক সরঞ্জাম, কম্পিউটার ইত্যাদি সব কিছুই আন্তর্জাতিক সামগ্রী। এগুলো সারা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য এবং কোন বিশেষ সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত নয়। এমন কি কোন বিশেষ জাতি-গোষ্ঠী কিংবা ধর্মের কোন একচেটিয়া অধিকারও এগুলোর উপর নেই। বরং এগুলো সব মানুষের জন্য উম্মুক্ত। কারণ জীবন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন দৃষ্টি ভঙ্গির সাথে এগুলোর কোন সম্পর্ক নেই। অতএব, যেহেতু এসব বস্তু তৈরী বা ব্যবহারের ব্যাপারে ইসলামী আকীদার সাথে কোন বৈপরিত্য নেই, সেহেতু মুসলমানদেও জন্যও এগুলো আবিষ্কার, উন্নয়ন ও ব্যবহার করা জায়েয। বরং ক্ষেত্রবিশেষে এগুলো অর্জন করা ফরযে কিফায়াও বটে।